Campus E-Center, Birganj

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১১

 শুরু হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা ও কাজকে সহজ করার চেষ্টা আজ গোটা পৃথিবীতেই। ব্যাংকিং সেবাতেও তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে নানা মাত্রায়। অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নতুন প্রজন্ম মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ব্যাংককে লাইসেন্সও দিয়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা করার জন্য।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ৩১ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো এ ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। মোবাইল ব্যাংকিং চলছে মোবাইল ফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, শাখাহীন এ ব্যাংকিং-ব্যবস্থায় গ্রাহকের প্রয়োজন শুধু একটি নিবন্ধিত মুঠোফোন। সব ধরনের ফোনসেটে যেকোনো সংযোগদাতার নম্বর দিয়েই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। মুঠোফোনের নম্বরটিই অ্যাকাউন্ট নম্বর হিসেবে নিবন্ধিত হবে। তবে নম্বরটির শেষে থাকবে ব্যাংকের দেওয়া একটি চেক-ডিজিট। এ সংখ্যা অন্য নম্বর থেকে একে স্বতন্ত্র হিসেবে বিবেচিত করবে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অনুমোদিত সিটিসেল এবং বাংলালিংকের যেকোনো এজেন্ট পয়েন্ট থেকে এ মোবাইল অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করা যাবে। গ্রাহক আবেদনপত্র পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ও ছবিসহ এজেন্টের কাছে জমা দেবেন। এজেন্ট গ্রাহকের আবেদনপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিরীক্ষণ করবেন। এজেন্ট তাঁর কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর গ্রাহক তাঁর মোবাইলে ডিবিবিএল সিস্টেম থেকে একটি আইভিআর কল বা ইউএসএসডি প্রম্পট মেনু পাবেন, যেখানে গ্রাহক তাঁর পছন্দমতো চার সংখ্যার পিন (পার্সোনাল আইডেনটিফিকেশন নম্বর) দেবেন। এরপরই গ্রাহকের মোবাইল হিসাবটি চালু হবে। গ্রাহক তাঁর মোবাইল হিসাবে নগদ টাকা জমাদান, উত্তোলন, ইউটিলিটি বিল প্রদান, এয়ার টাইম টপ-আপসহ মার্চেন্ট পেমেন্ট (কেনাকাটার খরচ পরিশোধ) সহজে এবং নিরাপদে সম্পন্ন করতে পারবেন।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইউএসএসডি (আনস্ট্রাকচারড সাপ্লিমেন্টারি সার্ভিস ডাটা) অথবা এসএমএস+আইভিআর (ইন্টার-অ্যাক্টিভ ভয়েস রেসপন্স) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ইউএসএসডির ক্ষেত্রে নির্দেশনা এবং পিন, ইউএসএসডির মাধ্যমে এবং এসএমএস ও আইভিআরের ক্ষেত্রে নির্দেশনা বা আইভিআর কলের মাধ্যমে পাঠানো হয়। পিন লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউএসএসডি ও আইভিআর দুটোই নিরাপদ। যেহেতু মোবাইল ফোনসেট, পিন ও চেক ডিজিট আয়ত্তে নেওয়া ছাড়া হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে না, তাই গ্রাহকের টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং প্রতারণামূলক লেনদেনের আশঙ্কাও কম। এ ছাড়া চেক ডিজিট ছাড়া টাকা জমা দেওয়া যাবে না বলে অনাকাঙ্ক্ষিত টাকা জমাদান থেকে সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ এ মোবাইল ব্যাংকিং-ব্যবস্থা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক ডিবিবিএল মনোনীত যেকোনো এজেন্ট পয়েন্ট থেকে গ্রাহক নিবন্ধনের সময় ব্যাংকের সিস্টেম থেকে একটি কল পাবেন। এরপর গ্রাহক তাঁর মোবাইল থেকে চার সংখ্যার পছন্দমতো একটি পিন (গোপন নম্বর) নম্বর টাইপ করবেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনে এ পিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ গোপন নম্বর দিয়েই গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে একজন গ্রাহক এক দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা করে পাঁচবার জমা এবং পাঁচ হাজার টাকা করে পাঁচবার তুলতে পারবেন। এ ছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের যেকোনো এটিএম বুথ থেকেও এ টাকা তোলা যাবে পরবর্তী সময়ে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক যেকোনো ধরনের লেনদেনের পর মুঠোফোনে একটি বার্তা পাবেন, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। রেমিট্যান্স ট্রান্সফার, বিভিন্ন করপোরেট অফিসের বেতনাদি প্রভৃতি খুব সহজেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পন্ন করা যায়। এ ছাড়া মোবাইল নম্বরটি অ্যাকাউন্ট নম্বর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় গ্রাহক স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাংকিং সেবা পেতে পারেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, এমনকি যেখানে কোনো ব্যাংকের শাখা নেই।

ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত
বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের ছয়টি উপজেলায় এবং ঢাকা শহরে ইতিমধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩৪টি উপজেলা অফিসসহ ৪৬টি নিয়ন্ত্রণকারী অফিসের মাধ্যমে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে মোবাইলব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর এই ব্যবস্থায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অনলাইন প্রযুক্তি ব্যবহূত হচ্ছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, পর্যায়ক্রমে সারা দেশে সব উপজেলায় নিয়ন্ত্রণকারী অফিস চালু করে দরিদ্র এবং ব্যাংকিং সেবাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে নতুন এই সেবায় আনা হবে। এখন মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক এবং সিটিসেল সারা দেশে তাদের এজেন্টের মাধ্যমে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে এই ব্যাংকিং কার্যক্রমে সহায়তা দিচ্ছে। এজেন্টনির্ভর এই ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সারা দেশে মোবাইল এজেন্টদের একটি নতুন ব্যবসার দুয়ার খুলে গেছে। এ প্রসঙ্গে কথা হলো সিটিসেলের এজেন্ট দোহার এন্টারপ্রাইজ-২-এর স্বত্বাধিকারী আবদুল করিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের চাকরিজীবীরা এই মোবাইল অ্যাকাউন্ট বেশি খুলছেন। প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যাকাউন্ট হচ্ছে। ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করা খরচসাপেক্ষ বলে স্বল্প ব্যয়ের এই মোবাইল অ্যাকাউন্ট করতে এলাকার মানুষ বেশি আগ্রহী। এ ছাড়া খুব অল্প সময়ে ঝামেলাবিহীনভাবে টাকা লেনদেন করা যায়।
দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজে অর্থ স্থানান্তর সম্পর্কে আবদুল করিম বলেন, আগে আমার এই মোবাইল ফোন ফ্লেক্সিলোডের দোকানে কোনো স্বল্প আয়ের মানুষ এক হাজার টাকা ফ্লেক্সি করে দেশের অন্য জায়গায় প্রয়োজনে স্থানান্তর করলে একটা অংশ কেটে রাখা হতো, যা ব্যয়বহুল ছিল। মোবাইল ব্যাংকিং আসার পর থেকে অনেক স্বল্প খরচে দ্রুত সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহজেই টাকা পাঠানো যাচ্ছে। তবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রকৃত সেবা পেতে হলে সারা দেশে এই ব্যাংকিংয়ের নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। নেটওয়ার্ক বাড়লে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে এই মোবাইল অ্যাকাউন্ট করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রকৃত ব্যাংকিং সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সহজেই পেতে পারে। সারা দেশে এখন ১৫২ জন এজেন্ট ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। প্রতিদিনই এই এজেন্টের সংখ্যা বাড়ছে, অ্যাকাউন্টের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। ইতিমধ্যেই মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা তিন সহস্রাধিক ছাড়িয়ে গেছে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করলে এই সেবা আরও দ্রুত দেশের সর্বত্র বিস্তৃত হবে।

অনলাইনে অভ্রের ব্যবহার - প্রথম আলো

অনলাইনে অভ্রের ব্যবহার - প্রথম আলো

রবিবার, ১২ জুন, ২০১১

BIRGANJ E-CENTER: ইউইনয়ন পরিষদ নিবাচন

Abotoronika.blogsport.com

ইউইনয়ন পরিষদ নিবাচন


বীরগঞ্জে ২৬ জুন ২০১১ ইং ইউইনয়ন পরিষদ নিবাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এ নিয়ে নিবাচন কমিশন বীরগঞ্জ ব্যাপক কমসূচী হাতে নিয়েছে এবং সেই সাথে ১১টি ইউনিয়নে নিবাচনী আমেজ বিরাজ করছে । প্রাথীরা রাস্তা, দোকানপাট, হাটে-বাজারে , পাড়া মহল্লার বাড়ীতে বাড়ীতে গনসংযোগ করছে ।