Campus E-Center, Birganj

বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২

16 December 2012 Desplay In Birganj

16 December 2012 Desplay In Birganj Dinajpur photo.



                                                    মিশন কিন্ডার গার্টেন স্কুল এর বিজয় ডিসপ্লে





                                                                   অন্যান্য স্কুলের ডিসপ্লে
                                              বীরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি

শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২

মহান বিজয় দিবস-২০১২


উপজেলা কমিউনিটি ই-সেন্টারের পক্ষ হতে সবাই কে জনাই
মহান বিজয় দিবস-২০১২


সম্মানিত সূধী,
আসসালামু আলাইকুম

১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জল ও সুমহান মর্যাদার দিন। লাখ লাখ শহীদের রক্ত এবং অসংখ্য মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় লড়াই এনে দিয়েছে আমাদের বহু প্রত্যাশিত বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে আর্বিভূত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। 

আজ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি প্রিয় মাতৃভূমি মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আরো স্মারণ করছি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গণাদের । যাদের মহান আত্মত্যাগ ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি এ বিজয়।


মহান বিজয় দিবস ২০১২ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ ভাবে উদযাপনের জন্য বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচীতে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহন ও সহযোগীতা একান্ত ভাবে কামনা করছি।


মোছা: আরজু আরা বেগম
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
বীরগঞ্জ, দিনাজপুর।
ফোন: ০৫৩২৩-৭২২০৬

মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১২

শোকাহত...


আশুলিয়ার গার্মেনস ফ্যাক্টরীর আগুনে পুড়ে ও চট্রগ্রামের বদ্দারহাট এলাকায় ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে শতাধীক লোকের মূত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। তাদের আত্মার মাগফেরাতের কামনাকরি।

উপজেলা ই-সেন্টার পরিদর্শন



আমাদের -সেন্টার ভিজিট করে গেলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার মো: মিজানুর রহমান এডিসি (শিক্ষা আইটিসি) ইউএনও স্যার মোছা: আরজু আরা বেগম তারা ডিজিটাল বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিশনিদর্শন মূলক কিছু কথা বলেন এবং ডিজিটালের প্রসার প্রসার বিষয়ে আলোচনা করেন তাদের এই পরামর্শ বীরগঞ্জ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে  বলে আমি মনে করি আবারো তাদের ধন্যবাদ শুভ কামনা জানিয়ে শেষ করলাম

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২


বীরগঞ্জে ইউআইএসসি'র এক মতবিনিময় সভায় উপজেলা মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান ( শিক্ষা ও আইসিটি), দিনাজপুর।

সুবর্নজয়ন্তী উৎসব


আগামী কুরবানী ঈদে পরপরই বীরগঞ্জ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। তাই পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীদের আজই নিবন্ধন করতে বলা হচেছ।

বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১২

পবিত্র মাহে রমজান



উপজেলা ই-সেন্টারের পক্ষ হতে সবাইকে মাহে রমযানের পবিত্র শুভেচছা ‌...

সোমবার, ২৫ জুন, ২০১২

চাদের পরিমাপ কত ?


আপনি কি চাদের পরিমাপ করেছেন এ ভাবে ?
যদি করে থাকেন তা হলে ফলাফলটি জনাবেন।
সঠিক উত্তর দাতাকে পুরস্কৃত করা হবে।

বীরগঞ্জ উপজেলা ই-সেন্টারে স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স


            সুখবর                                                        সুখবর                                               সুখবর

খুব শ্রীঘ্রই বীরগঞ্জ উপজেলা ই-সেন্টারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে প্রাথমিক হাতেখড়ি/ স্বল্পমেয়াদী কম্পিউটার কোর্স। যার মেয়াদ ১মাস। স্কুল, কলেজ, চাকুরীজীবি ও সাধারণ জনগনের জন্য এ কোর্সটি । এ ছাড়া আমাদের ৩মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স চলছে। অতি স্বত্তর যোগাযোগ করুন :

পরিচালক
উপজেলা ই-সেন্টার,
বীরগঞ্জ, দিনাজপুর।
মোবাইল : ০১৭১৭-১৩৮৫৬৬ / ০১১৯৯৩৫০৩০৬
ই-মেইল: ecenterbirganj@gmail.com

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

বর্ষার আগমন বার্তা

নীল গবঘনে আষাঢ়ে গগণে
তীল ঠাই আর নাহিরে,
ওগো আজ তোরা যাসনে
যাসনে গো ঘরের বাহিরে.....


কবিতাটি শুনলে বর্ষার কথা মনে পড়ে যায়, আর এই বার্তা বর্ষার আগমন বার্তা হয়ে সবাইকে স্বাগতম জানায় আমাদের মাঝে। বর্ষার এই আগমনকে আমরা সু-স্বাগত জানাই সকল ব্লগার ও এই ব্লগের শুভাকাঙ্খীদের।

বুধবার, ২৩ মে, ২০১২

বাদর লাটি / সোনালু


বাদর লাটি বা সোনালু একটি বনজ উদ্ভিদ। হলুদ রং এর ফুল ও লাটির মত ফল বলে গ্রাম্য ভাষায় এটাকে সবাই বাদর লাটি বলে থাকে। এর ঔষধি গুনও কম নয় ।

বিদায় সংবর্ধনা


বিদায় সংবর্ধনা ও বিদায় দেওয়া হলো আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার মো: জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বীরগঞ্জ দিনাজপুরকে। উপজেলার উপজেলা ই-সেন্টার ও ১১টি ইউনিয়নের সকল ইউআইএসসির উদ্যোক্তা বৃন্দ এক বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১২

৫০ বছরে বীরগঞ্জ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়





বীরগঞ্জ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হতে যাচ্ছে 
আগ্রহী এই স্কুলের সবাই এগিয়ে আসি 
এই উদযাপন সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে...
                                                               ---পাবেল, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর।

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২

ব্লগের সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা .....
শুভ নববর্ষ-১৪১৯

শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১২

ভর্তি চলছে ভর্তি চলছে

কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি চলছে , ৩মাস মেয়াদী কম্পিউটার এপ্লিকেশন কোর্সে ভর্তি চলছে । আসন সংখ্যা সীমিত। আগামী ১৫ মার্চ হতে ক্লাশ শুরু হবে। তাই আর বসে থেকে সময় নষ্ট না করে অতি সত্তর যোগাযোগ করুন, পরিচালক উপজেলা ই-সেন্টার, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর।

The Daily Ittefaq | পৃথিবীতে সৌর ঝড় | News

বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১২

বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন


বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বনার্ঢ্য  শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
‘‘কিশোরী, তরুণী, বালিকা,
মিলাও হাত
গড়ে তোল সমৃদ্ধ ভবিষ্যত’’
এই প্রতিপাদ্য বাসত্মবায়নের লক্ষে উপজেলা প্রসাশন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, পলস্নীশ্রী বালুবাড়ী দিনাজপুর, আরডিআরএস বাংলাদেশ এর আয়োজনে সকালে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা মিলনায়তনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রীতা মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ তাজুল ইসলাম মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ  মতিউর রহমান, বীরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি  মোঃ আবেদ আলী, বীরগঞ্জ মহিলা কলেজের প্রভাষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, বীরগঞ্জ কলেজের প্রভাষক শিপু সাহা, পল্লীশ্রীর প্রোগ্রাম ফেসিলিটেটর লিলিমা রানী, আরডিআরএস বাংলাদেশ বীরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র ম্যানেজার সামাজিক সংগঠন আলমগীর হোসেন, ইউপি সদস্যা আঞ্জুমান আরা বেগম,  অভিভাবক কুলছুম বেগম, শিক্ষার্থী  রানী হাসদা, আনিছা ইসলাম, মুক্তা দাস প্রমূখ।

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ভ্যালেন্টাইন ডে : নিসর্গের জানালা

পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা পাল তুলে নিসর্গের দিকে যেন ছুটে যায় ১৪ ফেব্রয়ারি দিনটিতে। ভালোবাসা দিবস অনবদ্য এক ইতিহাস। যা মানুষের হৃদস্পন্দনে এনে দেয় প্রশান্তির রঙিন ছায়া। দিবস তরুণ-তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং উদযাপিতও হচ্ছে ব্যাপকভাবে। সময়ের সন্ধিতে প্রিয় মানুষের সাথে প্রিয় ক্ষণকে উপভোগ্য করে থাকে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ফুল, কবিতা, কার্ড উপহার বিনিময়ের মধ্য দিয়ে। তবে সময়ের বিবর্তনে ধারার ভিন্নতা এখন লক্ষ্যণীয় পরিববর্তিত হচ্ছে। মুঠোফোন, এসএমএস ইন্টারনেটের ফলে ভালোবাসা মুহূর্তেই কাছাকাছি নিয়ে আসে প্রিয় মানুষটিকে। প্রযুক্তির কল্যাণে ভ্যালেন্টাইন ডে এখন পেয়েছে নতুন মাত্রা। ভালোবাসা সামাজিক প্রেক্ষাপটকে করে তোলে সুন্দর। মানুষের জকে করে তোলে সমৃদ্ধ।

ভালোবাসা দিবসটির ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভ্যালেন্টাইন খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগ না করায় তাকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা থেকেই এর উৎপত্তি। ২৬৯ খ্রিস্টব্দের ১৪ ফেব্রয়ারি তার ্যাগের ওই দিনটি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পালিত হয়। আবার কিছু কিছু বিশেজ্ঞতের মতে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারাগারে বন্দি থাকার সময় কারারীর মেয়েকে তার স্বারিত একটি চিঠি দেন, যাতে লেখা ছিল, লাভ ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার এমন স্মৃতিকে জড়িয়েই পরবর্তী সময়ে ভ্যালেন্টাইন ডে প্রচলন শুরু হয়। তবে অপর একটি ধারণা মতে জানা যায়, রোমান সম্রাট কডিয়াসের সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন গির্জার ধর্মযাজক ছিলেন। কডিয়াস তার সাথে মতবিরোধের জন্য প্রথমে তাকে কারাবন্দি করেন। পরে তার মৃতুদণ্ড কার্যকর করেন। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়াস সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সম্মানে ১৪ ফেব্রয়রি ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে ভ্যালেন্টাইন ডে নামে পালিত হতে থাকে। সময়ের সাথে সাথে ১৪ ফেব্রয়ারি প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে ভ্যালেন্টাইন ডে এবং সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বছরে একবার নারী পুরুষের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য শুধু ভ্যালেন্টাইন নামক অনুষ্ঠানকে বেছে নেয়া উচিত নয়।
ভালোবাসা সর্বজনীন। পৃথিবীতে ভালোবাসা দিবসটিকে নিয়ে রয়েছে নানান প্রথা। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সেই ত্যাগের কাহিনীকে ঘিরে অনেক দেশে রয়েছে হাজারও প্রথা, কুসংস্কার। ভালোবসার জন্য শুধু ভ্যালেন্টাইন নয়, যুগে যুগে পৃথিবীর বহু দেশে অসংখ্য মানুষ জীবন দিয়েছেন। ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন শুরু হয় রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকে। প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রয়ারি ছিল রোমান দেবদেবীদের রানী জুনোর সম্মানে পবিত্র দিন। রোমানরা তাকে নারী বিবাহের দেবী বলে বিশ্বাস করত। দিনটি অনুসরণ করে পরের দিন ১৫ ফেব্রয়ারি পালিত হতো লুপারকেলিয়া উৎপত্তি বিশেষ ভোজ। সে সময় তরুণ এবং তরুণীদের জীবনযাপন ব্যবস্থা ছিল সম্পর্ণ পৃথক। কিন্তু তরুণদের জন্য দৃষ্টি আকর্ষন নামে একটি ভিন্নধর্মী প্রথা ছিল লটারি লুপারকেলিয়া উৎপত্তি সন্ধ্যায় কাগজের টুকরায় তরুণীদের নাম লিখে একটি পাত্রে জমা করা হত। সেখান থেকে ্কজন তরুণ একটি করে কাগজের টুকরা তুলত এবং কাগজের টুকরায় যে তরুণীর নাম লেখা থাকত ওই উৎসবের সময় পর্যন্ত সে তাকে তার সঙ্গী হিসেবে পেত। পরে কখনো কখনো ওই দুজনের জুটি পুরো বছর ধরে টিকে থাকত এবং প্রায়শ তারা একে অপরের প্রেমে পড়ত এবং সব শেষে তা বিয়ে পর্যন্ত গড়াত।
সম্রাট কডিয়াসের শাসনামলে রোম কয়েকটি জনবিরোধী এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। হিংস্র প্রকৃতির কডিয়াস সে সময় তার সেনাবাহিনীতে যশেষ্ট সংখ্যক সৈন্য ভর্তি না হওয়া নিয়ে খুব কঠিন সময় পার করছিলেন। রোমান পুরুষরা তাদের পরিবার ভালোবাসা ত্যাগ করে যুদ্ধে না যাওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেন। ফলে কডিয়াস সমগ্র রোমে সব ধরনের বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সে সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন রোমের একজন ধর্মযাজক ছিলেন। তিনি এবং সেন্ট ম্যারিয়াস খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীদের গোপনে বিয়ে দিত এবং বিবাহিত যুগলদের সহযোগিতা দিতেন। কারণে রোমের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেফতার করে কারাবান্দি করেন। ভ্যালেন্টাইন বন্দি থাকা অবস্থায় অনেক তরুণ তাকে দেখতে যেত এবং কারাকরে জানালা দিয়ে তার উদ্দেশ্যে লেখা চিরকুট ফুল দিয়ে তাদের ভালোবাসা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করত। হাত নেড়ে তাকে জানাত যে, তারা যুদ্ধ নয়, ভালোবাসায় বিশ্বাসী এদের মধ্যে একজন ছিল কারারীর মেয়ে। তার বাবা তাকে ভ্যালেন্টাইনের সাথে সাক্ষাৎ কতে এবং তার সাথে কথা বলতে সুযোগ করে দিত। মেয়েটি তাকে তার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কডিয়াসের নির্দেশ অমান্য করে তরুণ-তরুণীদের গোপনে বিয়ে দেওয়া এবং ভালোবাসায় তার সমর্থনের কথা জানায়। এক সময় তারা এক অপরের বন্ধু হয়ে যায়। ভ্যালেন্টাইনের শিরোচ্ছেদ করে হত্যার দিনে তিনি মেয়েটিকে তার বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস নিয়ে একটি চিরকুট লিখে রেখে যান। এতে তিনি লিখেছিলেন, লাভ ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন বিচারকের নির্দেশ অনুসারে সে দিনই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

প্রথম ভালেন্টাইন কার্ড পাঠানোর প্রচলন শুরু হয় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিস্ এস্থার হাওল্যান্ডে। আজ থেকে শতবর্ষ আগে দিনে তরুণীরা রোদে একটি বাটিতে পরিস্কার পানি রেখে তার ওপর চেয়ে থাকত। ধারণা করা হতো, যার ছবি ওই পানিতে ভেসে উঠবে সে- হবে তার কাক্সিক্ষত ভ্যালেন্টাইন। কোথাও ফেব্রয়ারির ১৪ তারিখে তরুণ-তরুণীরা তাদের জামার হাতায় কাক্সিক্ষত ভালেঅবাসার মানুষটির নাম লিখে সপ্তাহজুড়ে ঘুরে বেড়াত। তারা ধরেই নিতো, এর ফলে সহজেই কাছে পাবে তার ভালোবাসার মানুষটিকে। আবার কোন কোন দেশে ১৪ ফেব্রয়ারি অবিবাহিত ছেলেরা মেয়েদের নতুন পোশাক উপহার হিসেবে পাঠাত এবং মেয়েটি ওই পোশাক গ্রহণ করলে ধরে নেয়া হতো, মেয়েটি তাকে বিয়ে কতে রাজি আছে। ওইসব দেশে কিছু লোকদের ভ্যালেন্টাইনের ওপর বিশ্বাস আরো একধাপ এগিয়ে। যেমন ১৪ ফেব্রয়ারিতে যদি কোনো মেয়ে তার মাথার ওপর একটি ফিতা উড়ে যেতে দেখে তাহলে তার বিয়েহবে কোন নাবিকের সাথে, যদি সে একটি চড়ুই পাখি দেখে তবে তার বিয়ে হবে একজন দরিদ্র লোকের সাথে, কিন্তু সে হবে খুবই সুখী। আর যদি সে সোনালি রঙের মাছ দেখে তবে তার বিয়ে হবে একজন প্রভাবশালী ধনাঢ্য লোকের সাথে।
কোন প্রথা বা কুসংস্কার নয়, ১৪ ফেব্রয়ারি ভালোবাসা দিবসের ফুলেল সৌরভ ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের প্রত্যেকরই আঙিনায়। ভালোবাসা জড়ানো তারুণ্যের রঙিন সুতোয় বোনা সুখস্বপ্নগুলো যেন চিরস্থায়ী হয়ে ফুটে থাকে সারাক্ষণ সারাটি সময়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ভালোবাসার নির্লোভ সম্মোহন আমাদের করে তুলুক আরও সুন্দর। ভালোবাসা শুধু বিশেষ দিন-দিবসে নয়, প্রতিটি মুহূর্তে আমদের ভেতর জড়িয়ে থাকুক।